বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এক যুবককে আটকের পর হাতে ইয়াবা দিয়ে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থার মহাপরিচালক।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডুকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগী যুবকের নাম মারুফ সিকদার। তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোডের বেগের বাড়ির বাদশা সিকদারের ছেলে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে মারুফকে নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড থেকে আটক করা হয়। পরে মারুফের কাছ থেকে ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে ওই রাতেই বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানায় মামলা করেন পরিদর্শক আব্দুল মালেক।
থানায় সোপর্দ করার আগে মারুফের হাতে হাতকড়া পরিয়ে ইয়াবা ধরিয়ে দিয়ে নির্যাতন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র সম্প্রতি ফাঁস হয়ে গেলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু জানান, মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয় পাঠানোর কথা বলেন তিনি।
