সেরি আর আবারও বর্ষসেরা রোনালদো

ইউভেন্তুসে যোগ দেওয়ার পর থেকে টানা দ্বিতীয়বার ইতালির শীর্ষ লিগ সেরি আয় মৌসুম সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

ইতালিয়ান ফুটবলারর্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে আসরের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে শুক্রবার পর্তুগিজ তারকার নাম ঘোষণা করা হয়। তুরিনের দলটির টানা নবম লিগ জয়ের পথে আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ গোল করেছিলেন তিনি।

২০১৯-২০ সেরি আর বর্ষসেরা গোলের স্বীকৃতিটাও গেছে রোনালদোর ঝুলিতে।

আবারও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের পর ইন্সট্রাগামে ভালোলাগার কথা জানান রোনালদো। ধন্যবাদ জানান ক্লাব, সতীর্থ ও ভক্ত-সমর্থকদের।

“ইতালিতে আসার পর থেকে টানা দ্বিতীয়বার পুরস্কারটি জিতে এর চেয়ে বেশি খুশি আর হতে পারতাম না।”

স্কাই স্পোর্ত ইতালিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোভিড-১৯ মহামারীতে সমস্যা জর্জরিত বছরের দিকে পেছন ফিরে তাকান রোনালদো। কঠিন এই সময়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারায় সন্তুষ্টিটা যেন একটু বেশিই ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের।

“বছরটা ছিল অদ্ভুত, এমন একটা বছর যা কেউই চাইত না। কিন্তু ব্যক্তিগত ও দলীয় দিক দিয়ে এটা ছিল ইতিবাচক, কারণ আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলাম।”

“শুরুর দিকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলাটা ছিল কঠিন, তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়নশিপ জয় এবং আমরা তা করতে পেরেছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম; কিন্তু ফুটবল এমনই।”

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে তার অনেকটা লাফিয়ে হেডে করা গোলটি বর্ষসেরা গোলের স্বীকৃতি পেয়েছে।

“এটা ছিল আমার সেরা গোল, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত…আমি আমার সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তারা ছাড়া এই পুরস্কার জেতা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না।”

“যে সকল খেলোয়াড়েরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।”

৩৬ পেরিয়েও এখনও মাঠে আগের মতই ক্ষুরধার রোনালদো। এর রহস্য জানালেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই ফুটবলার।

“আমি মনে করি নিজের প্রতি বিশ্বাস, হাল না ছেড়ে এগিয়ে যাওয়া ও ফুটবলের প্রতি আবেগ-এগুলো হলো ফুটবল উপভোগ করে যাওয়ার মূলমন্ত্র।”

“লড়াই চালিয়ে যেতে আমি এখনও অনুপ্রেরণা পাই। অন্যথায় ৩৫, ৩৬, ৩৭ বা ৪০ বছর বয়সে এই পর্যায়ে খেলা সম্ভব নয়।”

আসর সেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন আতালান্তার জান পিয়েরো গাসপেরিনি। গত মৌসুমে তার কোচিংয়ে লিগে তৃতীয় হয়েছিল আক্রমণাত্মক ফুটবলে চমক জাগানো দলটি।