চড়ছে তাপমাত্রা, কীভাবে গ্রীষ্মে সুস্থ রাখবেন নিজেকে? রইল টিপস…

শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রীষ্ম রাজ! চৈত্রের শুরু থেকেই অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল অবস্থা। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে গরমের প্রকোপ বাড়তে থাকে। কিন্তু গরম বলে তো ঘরে বসে থাকার উপায় নেই। ঘেমেনেয়ে সকলের অবস্থা করুণ হয়ে উঠছে।

শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বের হয়ে গেলে তখন তা আমাদের ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাতে করে সহজেই হানা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। তাই গরমেও ধরে রাখুন সতেজভাব। জেনে নিন কী করে গরমের মোকাবিলা করবেন?

গরমের কারণে শরীরে সোডিয়াম-পটাসিয়ামের পরিমাণ কমে সমস্যা দেখা দেয়। তাই রোদের মধ্যে খুব বেশি ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সূর্যের তাপ সব চেয়ে বেশি থাকে। তাই ওই সময়ে বাইরে না বেরনই উচিত।

বাড়ি বা অফিসের বাইরে বেরতে হলে এই দুই বিষয়ে সতর্ক থাকুন- শরীরে যেন জলের ঘাটতি না ঘটে। ঘামের সঙ্গে যেহেতু নুনও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তাই শরীরে জলের পাশাপাশি নুনও যাওয়া দরকার। কাজেই ডাবের জল, চিঁড়ে-মুড়ি ভেজানো জল শরীরের পক্ষে আরামদায়ক।

তেলমশলা যুক্ত খাবার খাবেন না-খুব তেলমশলা যুক্ত খাবার খাবেন না। এমন খাবার খান যা সহজে হজম হবে। প্রচুর জল খান। জলীয় খাবার বা রসালো ফল খেতে পারেন। টক দই খেতে পারেন। তবে রাস্তাঘাটে একেবারেই ফ্রুটজুস খাবেন না। কারণ এইসব ফ্রুটজুস থেকে পেটে নানারকম ইনফেকশন হতে পারে। ডাইরিয়া কিংবা জন্ডিস হওয়ার ভয়ও থাকে। রাস্তার ধারের কাটা ফল, মশলাযুক্ত খাবার ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।

৮৫% করোনা রোগীদের মধ্যেই ব্রেন ফগ-সহ চার ধরনের স্নায়বিক রোগের আশঙ্কা রয়েছে, বলছে গবেষণা

গায়ে কোনোরকম তেল মাখবেন না-গরমকালে গায়ে কোনওরকম তেল মাখবেন না। এতে অ্যালার্জি, র‍্যাশ কিংবা ঘামাচির পরিমাণ বাড়তে পারে।

সুতির জামা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন- সুতির জামা পড়ুন। সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, টুপি অথবা ছাতার ব্যবহার মাস্ট। রোদ থেকে ঘেমেনেয়ে এসি ঘরে ঢুকে শরীর এলিয়ে দেবেন না। গরম-ঠান্ডার হেরফেরে সর্দি, কাশি ও জ্বরের কবলে পড়তে পারেন। অনেকে ১৬, ১৮, ২০ ডিগ্রিতেও এসি চালান। এটা ঠিক নয়। এসি অন্তত ২৪ ডিগ্রির উপরে থাকা উচিত। প্রয়োজনে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালিয়ে ফ্যান চালান।

দৌড়ঝাঁপ করেই এসি-র মধ্যে ঢুকবেন না-সর্দিগর্মির পাশাপাশি বাচ্চারা এই সময়ে পেটের অসুখে ভোগে। বাচ্চারা অনেক সময়ে রোদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ করেই এসি-র মধ্যে ঢুকে পড়ে। কিন্তু ঘাম শুকোনোর পরেই এসি-র মধ্যে যাওয়া উচিত। না হলে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, জ্বর হতে পারে।

এইসময়