বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ

world bank

বাজেট বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গতকাল সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান।

আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর জন্যে ছাত্রীদের প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্পে এবং করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বাজেট সাপোর্ট হিসেবে অর্থমন্ত্রী ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

সভায় বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে দেখা হবে।

বিশ্বব্যাংক–আইএমএফ’র চলমান বসন্তকালীন বৈঠক ২০২১ এর অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আলোচনায় অংশ নেন।

অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে হার্টউইগ শ্যেফার ও মার্সি মিয়াং টেম্বন আলোচনায় অংশ নেন।

সভায় অর্থমন্ত্রী করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের গৃহীত দ্রুত ও সময়োযোগী উদ্যোগগুলোরও প্রশংসা করেন।

চলমান করোনা মহামারিতে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্বব্যাংকের ডিপিসি (Programmatic Jobs Development Policy Credit) প্রকল্পের আওতায় সাপোর্ট এবং করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের জন্যও তিনি বিশ্ব ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কমবেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে।

এই সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই অনুধাবন করতে পেরে দেশের সব ধরনের অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের জন্য একের পর এক এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ব্যবস্থা করেছেন, ইতিহাসে যা একটি বিরল সাহসী উদ্যোগ।

বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরুর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

পরিবেশগত উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তাবিত Ecological Restoration Support to Rivers and Canals around Dhaka প্রকল্পে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন; পরিবহন; নদী কেন্দ্রিক পর্যটনের উন্নয়নে টেকসই পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো তৈরিসহ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী।