রফিকুলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

বিতর্কিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৭) বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে অপরাধ সংগঠনের সহায়তার অভিযোগে এ মামলা হয়।

রোববার সকালে গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু বিপথগামী ধর্মীয় লেবাসধারী লোক দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। রফিকুল ইসলাম মাদানী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের নলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ‘মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায়’ বসে দেশদ্রোহী ও নাশকতার কার্যকলাপ চালায়। একই সঙ্গে নাশকতা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে।

কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রফিকুল ইসলাম মাদানী ওরফে শিশুবক্তা। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার পেছনে অন্যতম হিসেবে কাজ করেছে।

রফিকুল ইসলাম মাদানী গত ২৫ জানুয়ারি হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভরতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমান ও হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে।

এছাড়াও দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে ফেসবুক, ইন্টারনেট ও ইউটিউবে আপলোড করে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অস্থিরতা হিসাবে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। তার এসব বক্তব্যের ভিডিও ইউটিউবে ‘ইসলামিক জীবন’ নামের ফেসবুক পেইজ থেকে আপলোড করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাসন থানায় ডিজিটাল আইনে রোববার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। পরদিন বৃহস্পতিবার র‌্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।