যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের বাড়িতে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. আতাউল্লার বাড়িতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় দুজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সিঙ্গারবিলের কবলাছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র যুগ শ্রমিক অধিকার পরিষদ। সংগঠনের সমন্বয়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গতকাল রাত ১০টায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আহবায়ক, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী যুবক মো. আতাউল্লাহর গ্রামের বাড়িতে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৪-১৫টি মোটরসাইকেল যোগে ২৫-৩০ জন সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ওই সন্ত্রাসী দল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে মোবাইল, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র লুট করে। হামলার সময় সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে আতাউল্লাহর বড় ভাই মুহসীনকেও মারাত্মকভাবে জখম করে এবং আরেক ভাই মাসুদকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়িতে থাকা নারীদেরও লাঞ্ছিত এবং হেনস্তা করে।
আরও বলা হয়, হামলার পূর্বে সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ির আশপাশের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। যাতে আতাউল্লাহর পরিবারের সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে আসতে না পারে। আমরা এ সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনায় জনগণ ফুঁসে উঠে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। একই সাথে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের এসব আইন ও সমাজ বিরোধী উচ্ছৃঙ্খল এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে দায়িত্বশীলদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা মনে করি, মত-পথের ভিন্নতা থাকলেও আমাদের সকলের মৌলিক রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেয়া।