যশোরের রূপদিয়ায় মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ

যশোরের রূপদিয়া বাজারে ভাই-ভাই মাংস ভান্ডারে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। ক্রেতা সাধারণ ও একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ রূপদিয়া বাজারের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের নজরদারীর অভাবে এধরনের ঘৃণীত কর্মকান্ড করার দুঃসাহস করছে রূপদিয়া বাজারের মাংস বিক্রেতারা। শুধু মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে নয় সব ব্যবসায়ের বেলাতে কোনো প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা করে না তারা।

একাধিক সূত্র মতে, (৩০ এপ্রিল) শুক্রবার সকালে রূপদিয়া বাজারে গোশত পট্টিতে অবস্থিত মেসার্স ভাই-ভাই মাংস ভান্ডারে মরা গরুর মাংস বিক্রি করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ মানুষের মুখেমুখে। এক পর্যায়ে বেলা ১০ টার দিকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজির হয় স্থানীয় প্রশাসন। এসময় মাংস পট্টির ভাই-ভাই মাংস ভান্ডার থেকে বিশেষ কায়দায় কাপড়ে জড়িয়ে রাখা প্রায় ৪৫ কেজি গরুর মাংস জব্দ করে নদীতে ফেলে দেয় প্রশাসন।

সরেজমিনে সত্যতা যাচাইয়ে তদন্তে গেলে (অভিযুক্ত) ভাই-ভাই মাংস ভান্ডারের মালিক কসাই আকের আলী দাবী করেন গরুটি মৃত ছিলো না তবে অসুস্থ ছিলো।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, বাজারের ভাই-ভাই মাংস ভান্ডারটি মূলতঃ আকের আলী ও আইয়ুব আলী নামে দু’জন কসাই যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন।

কসাই আকের ও আইয়ুব আলী বলেন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের জনৈক জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে অসুস্থ অবস্থায় গরুটি ১৯ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন।

গরু মুল মালিক জাহাঙ্গীর আলম’কে খুঁজে কথা বলে জানাযায়, ৪ দিন পূর্বে আমার গরুটি দড়িতে পেঁচিয়ে পড়ে যেয়ে একটি ‘পা ভেঙে যায়। পরে আকের ও আইয়ুব নামের কসাইদের কাছে ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেই। কথা থাকে ততদিন অর্থাৎ এ’কয় দিন (৪ দিন) আমার বাড়িতে রাখা। এরপর তারা স্থানীয় পশু ডাক্তার মো: বাবলুর রহমান (বাবু)র পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করিয়ে কোনো রকম সুস্থ করে শুক্রবার হাটের দিন জবাই করে বিক্রি করে।

বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবী বাজারের কোনো কসাই নিয়ম মেনে পশু জবাই করে না। আর পরিষদ কর্তৃক পশু জবাইয়ের জন্য কোনো তদারকি না করায় এধরনের কর্মকান্ড প্রায়ই ঘটে।