ইউরোপে নিষিদ্ধ হচ্ছে বার্সা-রিয়াল-জুভেন্টাস!

ইউরোপিয়ান আসরে নিষিদ্ধ হতে পারে রিয়াল-বার্সা-জুভেন্টাসইউরোপিয়ান আসরে নিষিদ্ধ হতে পারে রিয়াল-বার্সা-জুভেন্টাস
স্পেন, ইংল্যান্ড ও ইতালির ১২টি জায়ান্ট ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল) আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। তার মধ্যে ৯টি ক্লাব সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস সমালোচিত এ টুর্নামেন্ট নিয়ে আকড়ে থাকতে রাজি। সে জন্য এই ত্রয়ী ক্লাবকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবছে উয়েফা।

এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার শৃঙ্খলা কমিটি। শাস্তি হিসেবে এক বা দুই বছরের জন্য ওই তিন ক্লাবকে চ্যাম্পিয়নস লিগসহ ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ করতে পারে। সেটা হলে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াই বসবে চ্যাম্পিয়নস লিগের আসর।

শুরুতে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল) আয়োজনে অংশীদার হলেও ব্যাপক সমালোচনা আর প্রতিবাদের মুখে সরে দাঁড়ায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় জায়ান্ট ক্লাব আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার।

ফিফা, উয়েফার সঙ্গে তাদের লিগ কর্তৃপক্ষ বেঁকে বসলে ইংল্যান্ডের ‘বিগ সিক্স’র দেখাদেখি বিতর্কিত এই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। এই ৯ ক্লাবকে শাস্তি পেতেই হয়েছে।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা এই ৯ ক্লাবকে আর্থিক শাস্তি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ৯ ক্লাবকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং বডি এবং তার টুর্নামেন্টগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতি দিতে চুক্তিপত্রেও সই করতে হয়েছে।

১৮ এপ্রিল ইএসএলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকারের চাপ আর ভক্ত-সমর্থকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের তোড়ে ইংলিশ ক্লাবগুলো নাম প্রত্যাহার করে নিলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই প্রকল্প ভেস্তে যায়। শাস্তি হিসেবে ৯ ক্লাবকে সব মিলিয়ে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৩.৪ মিলিয়ন পাউন্ড) খরচ করতে হবে সমাজ সেবায়। যা থেকে উপকৃত হবে ইউরোপের শিশু ও তৃণমূলের ফুটবল।

শুধু তাই নয়, এক মৌসুমের জন্য উয়েফার টুর্নামেন্ট থেকে ৯ ক্লাবের ৫ শতাংশ রাজস্ব আয়ও কাটা যাবে। সেটা শুরু হবে ২০২৩-২৪ মৌসুমে। এই অর্থ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ক্লাবগুলোতে পুনর্বণ্টন করা হবে।