ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাণিজ্যিক ভাবে সু-স্বাদু আঙুর চাষ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাণিজ্যিক ভাবে আঙুর চাষ করে সফল হয়েছে আব্দুর রশিদ নামের এক কৃষক। মাত্র সাত মাসের মধ্যেই রশিদের আঙুর বাগানে ফল আসতে শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন, প্রথম বারেই কয়েক মন আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন এবং তার বাগানের আঙুর সু-স্বাদু হবে। আব্দুর রশিদ মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। আপাদমস্তক কৃষক আব্দুর রশিদ একজন আদর্শ সবজি ও ফল চাষী। নতুন নতুন ফল ও সবজি লাগানো তার শখ।

সম্প্রতি সোনালী রঙের তৃপ্তি নামে নতুন জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন। দুই বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার তরমুজ তিনি বিক্রি করেছেন।

কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, গত সাত মাস আগে শখের বশে দশ কাঠা জমিতে ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙুর চারা রোপন করেন। তিনি এই চারা গুলো পাশ্বর্তী ভারত এবং ইতালি থেকে সংগ্রহ করেন। সাত মাস পরিচর্যার পর তার অধিকাংশ গাছেই ব্যাপক আঙুর ফল ধরেছে।

তিনি জানান, প্রতিটি গাছে ৫-৭ কেজি করে আঙুর ধরেছে। তিনি আশা করছেন তার বাগানের ৬০টি গাছ থেকে ২৫০-৩০০ কেজির মতো আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন। তার বাগানের আঙুর সু-স্বাদু হবে তিনি আশাকরেন।

কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, মহেশপুর উপজেলায় তিনি প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আঙুর চাষ করছেন। তিনি এই চাষের পাশাপাশি পাচ বিঘা জমিতে মাল্টা ,কমলা লেবু চাষ করছেন।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময় তিনি ইউটিউবে আঙুর, তরমুজ, কমলা চাষের ভিডিও দেখে আগ্রহী হয়েছেন।

আব্দুর রশিদ বলেন, আঙুর চাষ সম্প্রসারনে কয়েক বিঘা জমিতে এবার আঙুর গাছের চারা রোপন করছেন। আঙুর গাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে ৩/৪ মাস। তিনি আশাবাদী বাংলাদেশের মাটিতেও সুস্বাদু আঙুর চাষে সফলতা দেখাবেন।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, মহেশপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। এর আগে এই এলাকার কৃষকরা আম,পেয়ারা, বাউকুল, আপেলকুল, তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তবে গত ৭ মাস আগে কৃষক আব্দুর রশিদ তার ১০ কাঠা জমিতে কয়েক প্রজাতির আঙুর গাছের চারা রোপন করেন। প্রথম বছরেই তার আঙুর বাগানে ব্যাপক ফলন এসেছে। আঙুর পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। যদি সত্যিই সুস্বাদু হয় তাহলে এ এলাকায় আঙুর চাষে অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হবে। তিনি বলেন, কৃষক আব্দুর রশিদকে কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।