ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

abdul momen
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ‘শব্দ’ বাদ দেওয়া নিয়ে ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নেবে। অন্য কে কী বলল ইট ইজ টোটালি ইরেলিভেন্ট (একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।

বাংলাদেশের নতুন পাসপোর্টে পরিবর্তনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান। গেল সোমবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইলের প্রতি বিধিনিষেধের কথা উঠিয়ে নেওয়া’ প্রসঙ্গে বলেন, এ ঘটনায় আমরা খুশি হতে পারিনি কিন্তু এটা বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত। আমি এটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখতে চাই না। বিষয়টিকে বাংলাদেশের সরকারকে আবারো বিবেচনার অনুরোধ জানান রামাদান।

যদিও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্ট যেন ‘আন্তর্জাতিক মানের’ হয় সেজন্যই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনি কি বলছেন যে গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশি পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখেনি। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশ যারা পাসপোর্টে ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করছে তাদের পাসপোর্ট কি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নয়?’ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের এসব বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, কোন দেশের রাষ্ট্রদূত কী বললেন না বললেন দিজ ইজ ইরেলিভেন্ট টু মি। উই মেনটেইন আওয়ার ফরেন পলিসি। আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা কী করি না করি আমরা ডিসাইড (নির্ধারণ) করব।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পাসপোর্টে সংশোধন আনা হয়েছে। ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড একসেপ্ট ইসরাইল’ লেখা থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ বাদ দেওয়া হয়েছে ই-পাসপোর্টে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, পাসপোর্টে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। নতুন ই-পাসপোর্টে এমন সংশোধন সত্ত্বেও তেল আবিবের প্রতি ঢাকার অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।