ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন হাইকোর্টে

অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে হওয়া পৃথক দুই মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান জামিন আবেদন করেছেন হাইকোর্টে।

আজ সোমবার (৭ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) সংস্থার পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ৩০ জানুয়ারি ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান ২০২০ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরের দিন ২ জুলাই আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁর ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে করা আরো একটি মামলার বিচার চলছে। এ মামলার আরেক আসামি হলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশের এই বহিষ্কৃত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনামুল বাছিরকে। অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৯ বছরের ৯ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান- এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।