আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ দিন পর আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার রাতে ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন ও যশোরের দ্বীন ইসলাম ট্রেডার্স ৪৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে ১২৩ মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার সকালে পেঁয়াজের চালানগুলো খালাস হয়েছে বন্দর থেকে। এর আগে ৩০ এপ্রিল থেকে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। কোটি কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কেনা পেঁয়াজ ওপারে রপ্তানিকারকের কাছে আটকা পড়ে যায়।

বেনাপোল কাস্টমস কর্গো শাখার আরও স্বপন কুমার জানান, গতকাল ভারত থেকে ৭৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর ৫% হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারকরা সহযোগিতা করছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কেজিপ্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৫৫ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।

আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দর থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা আর খুচরা বাজারে ৪০ টাকা।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪০ দিন পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ৭৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়। আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।