মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিগুলোতে নির্বাচন শিগগিরই: সিইসি

cec km nurul huda
ফাইল ছবি

নির্বাচনই করোনা সংক্রমণ সম্প্রসারণের একমাত্র মাধ্যম নয় বলে আবারও দাবি করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

রবিবার সকাল ১১টায় মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, করোনাকে আমরাও গুরুত্ব দিচ্ছি। যেখানে করোনা সংক্রমের হার বেড়ে যাবে, সেখানেই নির্বাচন বন্ধ করা হবে। করোনার সঙ্গে নির্বাচন কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় নয়। আর করোনা সংক্রমণ সম্প্রসারণের একমাত্র মাধ্যম নয়। ইতোমধ্যে তাই প্রমাণিত হয়েছে। রাজশাহীতে কোনো নির্বাচন নেই, অথচ সেখানে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। এছাড়া ভারতের যেসব রাজ্যে করোনার হার বেশি, সেখানে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যেখানে হয়েছে, সেখানে করোনা তেমন প্রভাব পড়েনি।’

কে এম নুরুল হুদা আরও জানান, ‘যেসব ইউনিয়ন পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনা করে শিগগিরই নির্বাচন দেয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতিও রয়েছে। নির্বাচনে করোনা খুব প্রভাব ফেলতে পারবে না। ইতোমধ্যে যেসব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে, সেখানে করোনার হার কমে এলে নির্বাচন হবে। আমরা যেমন দৈনিক বাজার করি, অফিসে যাই, কাজ করি, ঠিক তেমনিভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হলেই যে করোনা বাড়তে, তার কোন নজির নেই।’

সিইসি আগামী ২১ জুন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ১৯টি ইউপি নির্বাচন সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। সভায় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।