ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা: দুজনের নামে চার্জশিট, নুরকে অব্যাহতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে চার্জশিটে।

সোমবার আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ৮ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

চার্জশিটে অব্যাহতি পাওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি (২৩)।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক

পর্যায়ে আসামি হাসান আল মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে আসামি হাসান আল মামুন তার বাসা লালবাগে যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করেন। পরে আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ আসামি হাসান আল মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হাসান চাঁদপুর নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।