টাইম স্কেল নিয়ে সাড়ে ৪৮ হাজার শিক্ষকের আপিল

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে রিট খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করা হয় বলে ঢাকা জানিয়েছেন শিক্ষকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। চলতি বছরের মার্চে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে রিটের শুনানিতে জারি করা রুল শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সারাদেশের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে দায়ের করা রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন।

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।

পরে আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চ মাসে রিট আবেদনটি খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আদালত।