নৌকার পক্ষে কাজ না করায় বৃদ্ধকে কান ধরে ওঠবস! (ভিডিও)

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় এক বৃদ্ধকে মারধর ও কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিজয়ী প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান খানের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পাতাকাটা গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের (৬৫) বাড়িতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান বাদলের কর্মী মনির, মিরাজ, রাশেদুল ও ইলিয়াসসহ ২০ থেকে ২৫ জন লোক তার বাড়িতে আসে। এ সময় তারা টেনেহিঁচড়ে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে পরিবারের সবার সামনে মারধর করে এবং কান ধরিয়ে ওঠবস করায়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভূক্তভোগী বৃদ্ধ বলেন, সোমবার (২১ জুন) আমাদের চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. মহাসিন হাওলাদারকে সমর্থন করি। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। নির্বাচনের পরদিন সন্ধ্যায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান খান বাদলের কর্মীরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে এবং পরিবারের সবার সামনে কানধরে ওঠবস করায়। এতে আমার পুত্রবধূ ও ভাইয়ের স্ত্রী বাঁধা দিলে তাদেরকেও তারা মারধর করে।

তিনি আরো বলেন, পরে তারা আমার ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৮ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

অ্যাড. মো. মহসিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে যা ঘটেছে তা চরম লজ্জাজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। তাই আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

চাওড়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান বাদল বলেন, আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তারা এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার কর্মীরা কোনো অন্যায় ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয়।

আমতলী থানার এসআই মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে ওঠবস করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।