ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বিস্তার-রোধে চলমান লড়াইয়ে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ অপপরিহার্য।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতির অগ্রগতিতে চিকিৎসক, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক- সাংস্কৃতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে সংক্রমিত হওয়ার আগে প্রতিরোধের ভিত্তি তৈরি হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম।
মন্ত্রী নেত্রকোনা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী করোনা সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের ধরন প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রকট আকারে রূপ নিয়েছে। একসময় সাধারণ মানুষের ধারনা ছিল করোনা শহরের মানুষের রোগ। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো। করোনা ভাইরাস গ্রামে দারুণ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।
মন্ত্রী ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তার-রোধে সীমান্ত উপজেলাগুলোতে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী নেত্রকোনা সদরে করোনা রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অক্সিজেন, সিসিইউ, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরসহ করোনা চিকিৎসার যে সব উপকরণের ঘাটতি আছে তা যথাসময়ে ব্যবস্থা করতে না পারলে বিপর্যয় থেকে এই জনপদকে রক্ষা করা কঠিন হবে।
মন্ত্রী বলেন, সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি চলতি লকডাউন সফল করতে প্রশাসনকে মানবিকতা ও কঠোরতার সমন্বয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।
