ঈদের দিন রোগীর স্বজনদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করল ‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’

ঈদের দিন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে ‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’ এর বন্ধুরা। এদিন তারা প্রায় ২০০ জনের মাঝে রাতের খাবার বিতরণ করেন।

লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া আর কিছুই খোলা থাকছে না। এক বেলা হোটেল খোলা থাকলেও রাতে খাবারের হোটেলগুলো থাকে বন্ধ। এতে করে বিপাকে পড়তে হয় দুর-দুরান্ত থেকে আসা রোগীর স্বজনের। খাবারের হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় রাতে প্রায়ই একরকম না খেয়ে থাকতে হয়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবার দিলেও অনাহারে থাকতে হয় রোগীর স্বজনদের। এই সকল সমস্যার কথা চিন্তা করে এগিয়ে এসেছে ‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’ এর বন্ধুরা। তারা রোগীর স্বজনদের রাতে একবেলা খাবার দেয়া উদ্যোগ গ্রহণ করে।

‘আমরা তো আমরাই’ এই শ্লোগান নিয়ে ‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’র ১১ জন বন্ধুরা মিলে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ১ জুলাই থেকে যশোর সদর হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মাঝে রাতে একবেলা খাবার দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম দিনে ৫০ জন রোগীর স্বজনদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। পরবর্তীদের প্রতিদিন ১শ’ ৫০ জন রোগীর স্বজনদের মাঝে রাতে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এবং এই কার্যক্রম চলতি মাস (জুলাই) জুড়ে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’ এর উদ্যোক্তারা। বন্ধুদের একত্রিত অর্থেই চলছে তাদের সহায়তা কার্যক্রম। সকল ব্যবস্থাপনার কাজও তারা বন্ধুরা মিলেই করছেন। রাতের খাবার দিচ্ছেন তারা।

সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতিদিন রাত ৮টায় রোগী স্বজনদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

‘আমরা তো আমরাই’ এই শ্লোগান নিয়ে শুরু করা ‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’ নামে সংগঠনটি প্রথমে ১১ জন বন্ধু মিলে কার্যক্রম শুরু করে। বন্ধুদের মধ্যে আছে- প্রতীক, বজলু, রাশেদ, লাল্টুু, বাবু, হাবিব, নয়ন, জুয়েল, তরিকুল, বিপলু, জিয়া, শুভ্রর, স্বপন।

পরবর্তীতে ‘এস.এস.সি ৯১ ব্যাচের ২ শতাধিকের বেশি বন্ধু সংগঠনটির কার্যক্রমের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সার্বিক সহযোগিতায় অংশগ্রহন করেছে। এছাড়া কিছু বন্ধু যারা দেশের বাইরে থাকে তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।

‘এস.এস.সি ৯১ যশোর’ ব্যাচের বন্ধু রাশেদ চৌধুরী বলেন, আমরা করোনাকালে মানুষের সহায়তা করতে উৎসাহী ছিলাম। তখন দেখলাম হাসপাতালে অনেকে না খেয়ে দিন পার করছেন। বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিই তাদের খাবার দিয়ে সহযোগিতা করার। কার্যক্রম শুরু করার পর এখন আমাদের বন্ধুর সংখ্যা প্রায় ২ শতাধিকের উপরে। আমরা মাসজুড়ে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।