ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড গড়লো জাপান

ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতির আগের রেকর্ড ভেঙে নিজেদের নামে বিশ্ব রেকর্ড গড়লো জাপান। ৩১৯ টেরাবাইট পার সেকেন্ড ইন্টারনেট গতির প্রদর্শন এর নতুন এই বিশ্ব রেকর্ড করেছে দেশটি।

এই বিষয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনেবলা হয়, জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির করা এক পরীক্ষায় ৩ হাজার ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবাইট (টিবিপিএস) গতির ইন্টারনেটের জন্য নতুন বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেছে।

এর আগে ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের রেকর্ড ছিল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের। সেখানকার গবেষকরা ১৭৮ টিবিপিএস-এর রেকর্ড গড়েছিলেন।

জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির তথ্য অনুসারে, গবেষকরা নতুন মাইলফলক অর্জনে বিদ্যমান ফাইবার অপটিক কাঠামোকে আরও উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছিলেন।

গতানুগতিক মানের কোরের বদলে গবেষকরা এমন চারটি কোর ব্যবহার করেছিলেন, যা গ্লাস টিউবের তৈরি। ডাটা পাঠানোর জন্য ওই চার কোরকে ফাইবারে স্থাপন করে নিয়েছিলেন তারা।

কাজটি করতে ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং নামের এক কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর সিগন্যালকে একাধিক ওয়েভলেংথে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল এবং তা ওই একই সময়ে সম্প্রচার করা হয়েছিল। বাড়তি ডাটা বহনে তৃতীয় ব্যান্ডও ব্যবহার করেছিলেন গবেষকরা।

এর পরের ধাপে নতুন ফাইবার অপটিকের মধ্য দিয়ে সিগন্যাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং জাপানি গবেষকদের দলটি এ প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তিন হাজার এক কিলোমিটার দূরত্বে ডাটা পাঠাতে পেরেছে।

কি হবে এত গতির ইন্টারনেট দিয়ে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে দ্রুত ডেটা ব্যাক আপ, আপডেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ধরনের দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মহাকাশ অভিযানের ডেটা স্ট্রিমিং ও আপডেট, প্রচুর তথ্যের ব্যাক আপ নেওয়া ইত্যাদি কাজে এ ধরনের দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রয়োজন।