টোকিও অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলবে যবিপ্রবির জহির রায়হান

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহির রায়হান টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিনে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বাংলাদেশের চারশ মিটারে রেকর্ডধারী স্প্রিন্টার। রোববার ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় টোকিওর উদ্দেশ্যে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। জহির রায়হান যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাঁর কোচ হিসেবে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোচ মো. আব্দুল্লাহ-হেল কাফী। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে টোকিও অলিম্পিকের জন্য জহিরকে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।

অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলা অনেক গৌরবের উল্লেখ করে জহির রায়হান বলেন, আমার যে সকল শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান আমাকে উৎসাহ দিয়েছে আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। দেশ ও জাতির জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারি,
এ জন্য সকলের দোয়া চাই। আমার এবারের লক্ষ্য পূর্বের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করা।

জহির রায়হানের অলিম্পিকে অংশগ্রহনের সুযোগ পাওয়ার উচ্ছাস প্রকাশ করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, জহির রায়হান অলিম্পিকে অংশগ্রহনের সুযোগ পাওয়ায় তাকে বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

অলিম্পিকে তার অংশগ্রহন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। আশা করি, তাদের মতো শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের হাত ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।

একইসঙ্গে শিক্ষা ও খেলাধুলার উন্নয়নে বিশেষ ভ‚মিকা রাখায় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

এ ছাড়া অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ায় জহির রায়হানকে অভিনন্দন জানান যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসিম রেজা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদসহ যবিপ্রবি পরিবারের সদস্যরা।

জহির রায়হান ইলেক্ট্রনিক টাইমিংয়ে ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়েন। এর আগে তিনি ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের ইভেন্টে অংশ নিয়ে হিটে উর্ত্তীর্ণ হয়ে সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।