হাটচান্নিতে বসেই কেনাবেচার দাবী রূপদিয়ার তরকারি ও মাছ ব্যবসায়ীদের

যশোর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম রূপদিয়া বাজারের তরকারি (কাঁচামাল) বিক্রেতাদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এনিয়ে সোমবার সাপ্তাহিক হাটের দিন সকাল থেকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে সকল প্রকার কাঁচামাল ক্রয়বিক্রয় বন্ধ করে রাখেন বাজারটির সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সপ্তাহের হাটের দিন বাজার করতে আসা বহু মানুষ। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিক রূপদিয়ার হাট মালিক (ইজারাদার) রাজু আহম্মেদের হস্তক্ষেপে বিক্রেতারা ফের বেঁচাকেনা শুরু করেন। এরমধ্য অবশ্য অনেক আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।

সরেজমিনে গেলে রূপদিয়া বাজারের তরিতরকারি ও মাছ বিক্রেতারা বলেন- বহু যুগ ধরে রূপদিয়ার এই বাজার’টি চলে আসছে। সেই থেকে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার এই দুই দিন সাপ্তাহিক হাট জমে। সম্প্রতি করোনা মহামারি সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করনে বাজার সংলগ্ন রূপদিয়া হাই স্কুলমাঠে অস্থায়ী ভাবে কাঁচামাল ও মাছ বাজার হস্তান্তর করেন।

কিন্তু সেখানে উপকারের চেয়ে অপকারটাই বেশী হচ্ছে। সেখানে একটি মাত্র প্রবেশদ্বার যাওয়া-আসা এক রাস্তাতেই প্রচন্ড ভীড় লেগে যায়। অথচ বাজারের মধ্য যাতায়াতের ৪টি রাস্তা রয়েছে এবং মাছ, মাংস ও কাঁচাবাজার ভিন্নভিন্ন সাইডে তাই স্কুল মাঠের চেয়ে বাজারের হাটচান্নি আরো বেশী নিরাপদ।

অন্যদিকে শুধু কাঁচামাল ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৪’শতাধিক যা স্কুলমাঠে ধরেনা। তা ছাড়া এই বর্ষার মৌসুমে পানি-কাঁদায় ভর্তি পুরো মাঠজুড়া। ক্রেতারা সবখানে যেতে পারেনা। এর ফলে অনেকের ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। কাঁচামাল বিক্রেতা মহাসিন বলেন এখান থেকে ১৮-২০ রকমের তরিতরকারি সেই স্কুলমাঠে নিয়ে যাওয়াও বেশ কষ্টকর আর বেলা ১২ হলেই বেঁচাবিক্রি বন্ধ করে দেওয়া লাগে।

স্থায়ী দোকান থেকে মালসামানা নিয়ে যেতে ১০ টা সাড়ে ১০ টা বেজে যায় এর পর বসতে বসতে নির্ধারিত সময় শেষ তারপর আবার চান্নিতে নিয়ে আসতে হয় এতে যতটা বেগ পোহাতে হয় তারচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তাই সকল ব্যবসায়ীদের দাবী সরকার নির্দেশিত সময় মেনে হাটচান্নিতে বসে কেনাবেচার ব্যাবস্থা করে হোক।