আইসিটি সেক্টরে ভারতের সহযোগিতা আরো প্রসারিত হবে: পলক

ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে ভারতের সহযোগিতা আরো প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার ২৭ জুলাই হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত ‘আইসিটিতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভারতীয় হাই-কমিশনার দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো প্রসারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে।

এছাড়াও চলতি বছরের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট)’ নামক একটি প্রকল্প স্থাপনে ভারতীয় অনুদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই সমঝোতার আওতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আইসিটি শিল্পের বিকাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ২৫ কোটি (পঁচিশ কোটি ) টাকা ভারতীয় অনুদান দেয়া হবে।

এই প্রকল্পে মোট ৬১.০২৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে যার বাকী অংশ (৩৬.০২৫৯ কোটি টাকা) বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে প্রায় আড়াই হাজার প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।

ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটি এবং অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য ভারতে আইসিটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।