প্রণোদনা ঋণ গত বছর যারা পায়নি এবার তাদের দেয়ার নির্দেশ

শিল্প ও সেবাখাতে কম সুদের প্রণোদনার ঋণ গত বছর যারা পায়নি, এবার তাদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দুই খাতের জন্য চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এসব ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। এর মধ্যে সাড়ে ৪ শতাংশ দেবে গ্রাহক। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ ভর্তুকি দেবে সরকার। বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প ও সেবা খাতের যেসব প্রতিষ্ঠান (এসএমই ব্যতীত) করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শুধু সেগুলো এ প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পাবে। এর আওতায় সীমাতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে ঋণদানের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠান যাতে এ প্যাকেজের আওতায় ঋণসুবিধা ভোগ করতে পারে, সে বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

প্যাকেজের আওতায় চলতি অর্থবছরের জন্য প্রদত্ত ঋণ স্বল্পসংখ্যক গ্রাহকের মধ্যে কেন্দ্রীভূত না করে ক্ষতিগ্রস্ত অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য শিল্প ও সেবা খাতের ক্ষতিগ্রস্ত যেসব প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত সুবিধা পায়নি, তাদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় প্রণোদনা ঋণ বিতরণ শুরু হয়েছে। এবার বিতরণ হবে ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে। কোন ব্যাংক কত টাকা ঋণ দিতে পারবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এতে সরকার সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ ভর্তুকি দেবে এবং সাড়ে ৪ শতাংশ গ্রাহককে বহন করতে হবে।

আর কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের জন্য এবারও বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার, বাকিটা গ্রাহক দেবে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে গত বছরের এপ্রিলে কম সুদে প্রণোদনা ঋণ বিতরণ শুরু হয়, যার প্রথম দফার বিতরণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এর আওতায় ব্যাংকগুলো ছোট ও বড় উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে চলতি মূলধন হিসেবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।