রোডম্যাপ অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়াতে হবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহকসেবা সমৃদ্ধ প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মাঝে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। রোডম্যাপ অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন।

বুধবার অনলাইনে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক।

মে মাসেই যেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়—এই রোড ম্যাপ বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এডিপি বাস্তবায়নে আরএডিপি বরাদ্দের সর্বোচ্চ বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা প্রধানসহ সকল প্রকল্প পরিচালককে জোরালো চেষ্টা করতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগে ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে ২৪ হাজার ৭৬৮ দশমিক ২২ কোটি টাকা (জিওবিতে ১০৮০০.১৮ কোটি, পিএ খাতে ১২৯৫৯.৯৯ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১০০৮.০৫ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল। অর্থ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যয়মীসা জিওবিতে ৯৬৪৫.১৭ কোটি, পিএ খাতে ১২৯৫৯.৯৯ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১০০৮.০৫ কোটি অর্থাৎ মোট ২৩ হাজার ৬১৩.২১ কোটি টাকা নির্ধারিত ছিল।

জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয় জিওবিতে ৯৪৯৩.০৪ কোটি, পিএ খাতে ১২৭৭২.৪৫ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৮১৪.১৪ কোটি অর্থাৎ মোট ২৩০৭৯.৬০ কোটি টাকা। আরএডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী, জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৩.১৮ শতাংশ আর সিলিং অনুযায়ী জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

অর্থাৎ আর্থিক অগ্রগতি ৯৭.৭৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ বিভাগ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৯৭টি (বিনিয়োগ ৮২টি, টিএ ১০টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৫টি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।