বকশীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৫

rap

জামালপুরের বকশিগঞ্জে পাহাড়ে তুলে এক স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার লাউচাপড়া পিকনিক স্পটের পাশে একটি পাহাড়ি টিলায় স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং এ সময় অভিযুক্ত ৫জনকে আটক করেছে বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার গভীর রাতে বকশিগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কোমরভাঙ্গি পুরাতন পাড়া গ্রামে। আসামীরা সেই স্কুল ছাত্রীর প্রতিবেশী। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিবেশী ৫জন যবুক বেড়ানোর কথা বলে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে আসেন। লকডাউনে পিকনিক স্পট বন্ধ থাকায় আশে পাশের পাহাড়ে বেড়াতে থাকেন তারা।

এক পর্যায়ে পিকনিক স্পটের পাশে এক পাহাড়ের টিলায় নিয়ে সেই কিশোরীকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে প্রতিবেশী ৫জন যুবক। পরে ধর্ষনের শিকার সেই স্কুল ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় ৫যুবকের মধ্যে ২জন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে ওই স্কুল ছাত্রীসহ ৩ধর্ষককে আটক করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এ সময় স্থানীয় ওই যুবকরা তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। পরে পুলিশ এ খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সেই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ৩জন ধর্ষক ও স্থানীয় ২জনকে আটক করে বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ।

ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ৩জন কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গি পুরাতন পাড়া গ্রামের মো.শফিকুল ইসলামের ছেলে মো.হুসাইন শান্ত (২১), আজিজুল বেপারীর ছেলে মো.আমিনুল (২১), মো.তজিমুলের ছেলে আঙ্গুর আলম(২৩)।

এ সময় চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জের পলাশতলা এলাকার হানবির ছেলে হিটলার (৪৮) ও পৌর এলাকার চর কাউরিয়া সীমার পাড় এলাকার মৃত রেজাউল করিমের ছেলে আজাদ (৫০)।

পালাতক ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত ২জন কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গি পুরাতন পাড়া গ্রামের মো.আশরাফ আলীর ছেলে মো. শফি আলম, মো.সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো রুহুল আমিন। শুক্রবার সকালে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানাব, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আরো জানান বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবারে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষায় জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।