কৃষিপণ্যের বিপণন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী

abdur razzak
ফাইল ছবি

কৃষিপণ্যের বিপণন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে ধান, গম, ভুট্টা, শাক-সবজি, ফলমূলসহ সব কৃষিপণ্যের উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে, উৎপাদনে বিস্ময়কর সাফল্য এসেছে। এসব উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বিপণনই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বুধবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিপণ্য কেনাবেচার মোবাইল অ্যাপ ‘সদাই’ এর উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাপ ‘সদাই’ বাস্তবায়ন করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষকরা যে পণ্য উৎপাদন করে তা অনেক সময় বাজারজাত করতে পারে না, সঠিক মূল্য পায় না। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তার সঠিক মূল্যে, নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত পণ্য কেনার নিশ্চয়তাও দিতে হবে। এ লক্ষ্যে ‘সদাই’ অ্যাপটি কাজ করবে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্য কেনাবেচায় ‘সদাই’ অ্যাপটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ অ্যাপটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস,

কৃষিপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করবে। একই সঙ্গে, ভোক্তারা যাতে না ঠকে, প্রতারণার শিকার না হয় এবং নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত পণ্য পায় এজন্য অ্যাপটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

‘সদাই’ সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রথম কৃষি বিপণন অ্যাপ। এর ভাষা বাংলা। এটির মাধ্যমে কৃষক ও ভোক্তার সরাসরি যোগাযোগ হবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ‘সদাই’ প্ল্যাটফর্মে লেনদেন হওয়া কৃষিপণ্যের গুণগত মান ও ক্রয়-বিক্রয় মনিটরিং করবে।

পণ্যগুলোর উপযুক্ত দাম নির্ধারণ করবে। প্রয়োজনে উদ্যোক্তার নিবন্ধন বাতিল করবে। অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা ও অধিদপ্তর পরিচালিত কল সেন্টার থাকবে।

কৃষক ও উদ্যোক্তারা ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে কমিশনবিহীন বিক্রির সুযোগ পাবে। মোবাইল ব্যাংকিং পেমেন্ট এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্টের সুযোগ পাওয়া যাবে।

মূল্য যাচাইয়ের সুযোগ ও অর্ডারকৃত পণ্যের ট্র্যাকিং সুবিধা রয়েছে। অধিদপ্তর কৃষক ও উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। ক্ষেত্র বিশেষে কৃষিপণ্য পরিবহন সুবিধা পাওয়া যাবে।