যশোরে আব্দুস সালাম সেলিম (৫৫) নামে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি সদর উপজেলার মোমিননগর নওদাগা এলাকার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে গরিব দুঃখির সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। জানা যায় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি তিন সন্তানর জনক। তার সন্তান ও স্ত্রী শহরের বিমান অফিস মোড়ে তাদের নিজস্ব বাসায় থাকতেন। তার বড় মেয়ে সাদিয়া এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
ছেলে আদনান এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ছোট আরো একটি মেয়ে রয়েছে। মামা বজলুর রহমান বলেন, সালাম খুব ভালো একজন মানুষ। সে আত্মহত্যার করার মতো মানসিকতার মানুষ না।
তার পরিবারে এমন কোনো সমস্যাও নেই যে তার আত্মহত্যা করা লাগবে। চাচাতো ভাই ও তার ড্রইভার কামরুজ্জামান বলেন, সে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
গত বুধবার ছুটিতে শহরের বিমান অফিস মোড়ের বাসায় আসেন। শনিবার সকালেও উঠে নামাজ আদায় করেছেন। তারপর কি হয়েছে জানিনা। শুনলাম ভাই আত্মহত্যা করেছে।
আরেক চাচাতো ভাই শাহিনুর রহমান বলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর এলাকায় তার শশুর বাড়ি। প্রায় সময়ই তিনি ওই এলাকায় রোগী দেখতে যেতেন। এছাড়া তার নিজের গ্রামেও তিনি গরিব রোগীদের সেবা দিতেন।
এসব এলাকায় তিনি গরিবের ডাক্তার বলে পরিচিত। তিনি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। আমাদের ধারণা তাকে হত্যা করা হয়েছে অথবা আত্মহত্যার জন্য বাধ্য করা হয়েছে।
যশোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তাকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যার তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।