শত্রুকে শাস্তি দিতে কঠিন অঙ্গীকার খামেনির

তীব্র সংঘাতময় ১০ দিন পার করে ১১তম দিনে পা রেখেছে ইরান-ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য হামলায় নতুন মোড় নিয়েছে এ সংঘাত। শক্তিশালী শত্রুপক্ষের সামনে নতি স্বীকার না করে বরং আরও তীব্রভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইরান। ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র জোটকে শাস্তি দিতে কঠিন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সোমবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানে মার্কিন হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে খামেনির একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে; এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে; তারা এখনই শাস্তি পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত ইসরায়েলের এ অভিযানের শুরুতেই সেনাপ্রধানসহ অন্তত ২০ জন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ও বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী হারায় ইরান; জবাবে শুরু করে পাল্টা হামলা। সংঘাতময় টানা ৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গত শনিবার (২১ জুন) রাতে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের তিন পারমানবিক স্থাপনায় বড় ধরনের ক্লাস্টার বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে সংঘাতের শুরু থেকেই নিজ বাসভবন ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করতে পারে ইরানের আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ এবং সামরিক বাহিনীর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এ নেতাকে। তবে, তেমনটা ঘটলে দ্রুত সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন তিনি।