জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ

kazi nabil ahamed

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, আবাহনী লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ। সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে এই পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তিন বারের নির্বাচিত এই সহ-সভাপতি।

২০১২ সালের পর থেকে জমা পড়ে গেছে ৮ বছরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। এই পুরস্কার একসঙ্গে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে গত আট বছরের মোট ৮৮ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।

সেই তালিকায় ২০১৯ সালের সফল সংগঠক হিসেবে আছেন যশোরের সাংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সময় পেলেই মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।

এজন্য অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ছয় বছর নিয়মিত দেয়া হলেও ১৯৮২ সালে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শাসনভার গ্রহণের পর ফের শুরু হয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান। ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত ৮৮ জনের মধ্যে ৮ জনকে দেয়া হবে
মরণোত্তর পুরস্কার।

যারা পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১৩ সাল-মোজাফ্ধসঢ়;ফর হোসেন পল্টু, (সংগঠক), ইলিয়াস
হোসেন (ফুটবল), খালেদ মাহমুদ সুজন (ক্রিকেট), শাহজাহান মিজি (সাঁতার), রোকেয়া বেগম খুকী (অ্যাথলেটিক্স), বেগম জ্যোৎস্না আক্তার (অ্যাথলেটিক্স), মুনিরা মোর্শেদ খান (টেবিল টেনিস), ভোলা লাল চৌহান (স্কোয়াশ), কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ (মরণোত্তর-সংগঠক), উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন
আহমেদ (সংগঠক) ও সামশুল হক চৌধুরী (সংগঠক)।

২০১৪ সাল- ইমতিয়াজ সুলতান জনি (ফুটবল), এহসান নাম্মি (হকি), সামছুল ইসলাম (সাঁতার), সাঈদ-উর-রব (অ্যাথলেটিক্স), মিউরেল গোমেজ (অ্যাথলেটিক্স), বেগম কামরুন নেছা (অ্যাথলেটিক্স), জোবায়েদুর রহমান রানা (ব্যাডমিন্টন), শামসুল বারী (মরণোত্তর-সংগঠক), ফজলুর রহমান বাবুল (সংগঠক), সৈয়দ শাহেদ রেজা (সংগঠক) ও এনায়েত হোসেন সিরাজ (সংগঠক)।

২০১৫ সাল- জুয়েল রানা (ফুটবল), বরুন বিকাশ দেওয়ান (ফুটবল), ফারহাদ জেসমীন লিটি (অ্যাথলেটিক্স), বেগম রেহানা জামান (সাঁতার), শিউলী আক্তার সাথী (ব্যাডমিন্টন), খাজা রহমতউল্লাহ (মরণোত্তর-সংগঠক), আহমেদুর রহমান বাবলু (সংগঠক), ড. শেখ আবদুস সালাম (সংগঠক) ও মাহতাবুর রহমান বুলবুল (সংগঠক)।

২০১৬ সাল- খন্দকার রকিবুল ইসলাম (ফুটবল), আরিফ খান জয় (ফুটবল), সুলতানা পারভীন লাভলী (অ্যাথলেটিক্স), কাজী হাবিবুল বাশার সুমন (ক্রিকেট), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (সাঁতার), কাজল দত্ত (ভারোত্তোলন), শামীম-আল-মামুন (ভলিবল), জালাল ইউনুস (সংগঠক), তোফাজ্জল হোসেন (সংগঠক), আব্দুর রাজ্জাক (মরণোত্তর-সংগঠক), তাবিউর রহমান পালোয়ান (সংগঠক), লে. কর্ণেল (অব.) এ কে সরকার (সংগঠক) ও জেড. আলম (মরণোত্তর-রেফারি)।

২০১৭ সাল- আবু ইউসুফ (ফুটবল), মাহাবুব হারুন (হকি), রহিমা খানম যুথী (অ্যাথলেটিক্স), সেলিম মিয়া (সাঁতার), শাহরিয়া সুলতানা সুচি (ভারোত্তোলন), ওয়াসিফ আলী (বাস্কেটবল), আওলাদ হোসেন (সংগঠক), শেখ বশির আহমেদ মামুন (সংগঠক), আসাদুজ্জামান কোহিনুর (সংগঠক), হাজী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম (সংগঠক) ও এটিএম শামসুল আলম আনু (মরণোত্তর-সংগঠক)।

২০১৮ সাল- কাজী আনোয়ার হোসেন (ফুটবল), জ্যোৎস্না আফরোজ (অ্যাথলেটিক্স), মীর রবীউজ্জামান (জিমন্যাস্টিক্স), আলমগীর আলম (হকি), নিবেদিতা দাস (সাঁতার), শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর (সংগঠক), রফিক উল্যা আখতার (সংগঠক ), মাহমুদুল ইসলাম রানা (সংগঠক) মোয়াজ্জেম হোসেন (সংগঠক) ও তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান (সংগঠক)।

২০১৯ সাল- কাজী নাবিল আহমেদ (সংগঠক), টুটুল কুমার নাগ (হকি), দিপু রায় চৌধুরী (ক্রিকেট), মাহফুজা রহমান তানিয়া (সাঁতার), ফারহানা সুলতানা শীলা (সাইক্লিং), মাহবুবুর রব (ব্যাডমিন্টন), তানভীর মাজহার তান্না (সংগঠক), ইন্তেখাবুল হামিদ (সংগঠক), অরুণ চন্দ্র চাকমা (সংগঠক), লে. জে. মইনুল ইসলাম (অব.) (সংগঠক) ও সাদিয়া আক্তার ঊর্মি ( টেবিল টেনিস)।

২০২০ সাল- শহীদ লে. শেখ জামাল (মরণোত্তর-সংগঠক), মহসিন (ফুটবল) মাহবুবুল এহসান রানা (হকি), আবদুল্লাহ আল রাকিব (দাবা), বেগম নিলুফা ইয়াসমিন (অ্যাথলেটিক্স), আবদুল কাদের স্মরণ (ব্যাডমিন্টন), আফজালুর রহমান সিনহা (মরণোত্তর- ক্রিকেট) ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম (সংগঠক)।