যশোরে ফেনসিডিল-ইয়াবাসহ দুই পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

police

যশোর শহরের মমিননগর মার্কেটে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে দুইজন পুলিশ সদস্যকে মাদকসেবন কালে আটক করেছে পুলিশ সদস্যরা। আটককৃতদের মধ্যে একজন চাঁচড়া পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত অপরজন চাকুরীচ্যুত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যশোর শহরের গাড়ীখানা এলাকায় অবস্থিত পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম জানান হত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের কাছে গোপনে খবর আসে শহরের মমিননগর মার্কেটে অবস্থিত যশোর আবাসিক হোটেলে বসে দুজন মাদকসেবন করছে।

এসময় তিনি পুলিশ ফাড়ির এস আই খায়রুল আলমকে ফোর্সসহ সেখানে পাঠান। এস আই খায়রুল আলম হোটেলটির ৪র্থ তলার ৪১০ নং রুমে দরজা বন্ধ করে দুজন মাদকসেবন করছে দেখতে পান।

এসময় দরজা খুলে তাদের কাছে থাকা দুইবোতল ফেনসিডিল, পরে তাদের হেফাজত থেকে ১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ইয়াবা সেবনের চারটি পাইপ উদ্বার করেন এবং তাদের দুজনকে আটক করেন।

আটক দুইজন হচ্ছে বাগেরহাট জেলা সদরের জয়গাছি গ্রামের আব্দুল জব্বার মোল্যার ছেলে মুজাহিদ (২৮) ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কচুয়াপোতা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আজম মোল্যা (৩২)।

আটককৃতদের মধ্যে মুজাহিদ যশোর চাঁচড়া পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত, আর আজম মোল্যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে চাকুরী করাকালে তিনি চাকুরী থেকে বরখাস্তকৃত হন বলে জানা গেছে।

চাঁচড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান বলেন, মুজাহিদকে আগের থেকে সতর্ক করা হয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ তাসমিম আলম বলেন, মামলার তদন্ত দেয়া হয়েছে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলামকে।

কোতয়ালী খানার ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ কনস্টেবল মুজাহিদ ও আজম মোল্যা যশোর আবাসিক হোটেলে ফেনসিডিল ও ইয়াবা (মাদক) নিয়ে অবস্থান করছিলেন।

এ সময় পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালালে তারা আটক হন। তারা মাদকদ্রব্য বিক্রির উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় শহরের কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল আলম একটি মামলা করেছেন।