নিরাপদ ও সহজে মাছ পরিবহনে চালু হচ্ছে নতুন অ্যাপস ‘মাছের গাড়ি’

নিরাপদ ও সহজে মাছ এবং মাছের পোনা পরিবহনের জন্য ‘মাছের গাড়ি’ নামে নতুন অ্যাপস চালু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অ্যাকুয়া কালচার অ্যাকটিভি প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ফিস এই নয়া উদ্যোগ নিয়েছে।

সোমবার দুপুরে যশোরের একটি অভিজাত হোটেলে মাছ চাষি, উদ্যোক্তা ও পরিবহন (ট্রাক,পিকআপ) মালিক শ্রমিকদের নিয়ে এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, মাছ পরিবহনের সুবিধা দিতে এটি বাংলাদেশে নয় বিশ্বে প্রথম কোন অ্যাপস চালু হচ্ছে; যা ‘মাছের গাড়ি’ নামে পরিচিত। একজন মাছ চাষি বা ব্যবসায়ী তার পণ্য পরিবহনের জন্য একবারই অ্যাপসে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করবে।

এরপর মাছ কোথায় যাবে, কী পরিমান যাবে, কতটুকু অক্সিজেন লাগবে, কত সময় লাগবে ইত্যাদি তথ্য সরবরাহ করতে হবে। মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মাছ চাষি পরিবহন পেয়ে যাবে।

অক্সিজেন ও বরফের সুবিধা থাকবে গাড়িতে। কম খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে মাছ নিরাপদে পৌছানে যাবে। কর্মশালায় বলা হয়, উবর বা পাঠাও’র মতো এই অ্যাপসটি সুবিধা দেবে।

এছাড়া একটি নির্দিষ্ট নম্বরে কল সেন্টার খোলা হবে। যাতে সহজে আরো ভালভাবে জানতে পারা যাবে মাছ পরিবহনের নিয়ম কানুন। যে চালক মাছ পরিবহন করবেন তার ব্যবহার, আচার-আচারণ কেমন সে বিষয়ে রেটিং নম্বর থাকবে।

নির্দিষ্ট স্থানে মাছ পাঠিয়ে দেয়ার পর গাড়ি কোথায় আছে তাও জানা যাবে এই অ্যাপসের মাধ্যমে। যত বেশি সংখ্যক পারা যায় গাড়ির তালিকা থাকবে এই অ্যাপসে।

যাতে একজন চাষি বা ব্যবসায়ী সহজে পছন্দ অনুযায়ী মাছ পরিবহন করতে পারে। এখনই এই অ্যাপসের সুবিধা নেয়া যাবে। আগামী নভেম্বরে পরোপুরি সুবিধা দেবে ‘মাছের গাড়ি’।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা মৎস কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, যশোর হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ফিরোজ খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার, ওয়ার্ল্ড ফিসের মার্কেটিং অফিসার কাজী হাসনাল আলম, মাসুদ রানা প্রমুখ। এছাড়া জুম অ্যাপের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেন ওয়ার্ল্ড ফিসের সিইও কাজী ফয়সাল মাহমুদ।