যশোরে চাকরি দেয়ার নামে সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

mamla rai

যশোরে এলজিইডিতে ও শিক্ষক পদে একাধিক মানুষকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে প্রায় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা ও তার দুই ভায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের বাসিন্দা মৃত যোগেন্দ্র নাথ চৌধুরীর ছেলে সুদাম চৌধুরী।

আসামিরা হলেন, পদ্মবিলা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে মেহেদি আল মামুন ও তার ভাই আবু জাফর সিদ্দিকি এবং তার বোন পদ্মবিলা মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সোনালী আক্তার।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সোনালী আক্তার ও তার ভাই আবু জাফর তার পূর্বপরিচিত। সোনালী জানায় তার ভাই মেহেদি আল মামুন ঢাকাতে থাকে।

এবং তিনি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিতে যোগদান করে দেন। এছাড়াও বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন সদন তৈরী করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিয়োগ দিয়ে দেন। এক পর্যায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বাদীর পুত্রবধুকে এলজিইডিতে স্টোর কিপার পদে ও বাদীর পরিচিত চারজনকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার জন্য চুক্তি হয়।

২০১৭ সালের ২ মে থেকে ২০১৮ সালের ১১ জুন পর্যন্ত সাড়ে নয়লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আসামিরা। এরমাঝে তিনজনের বিপরীতি তিনটি নিবন্ধন সনদও পাঠানো হয়।

কিন্তু পরে জানা যায় সেইসব নিবন্ধন সার্টিফিকেট জাল। এছাড়া বাদীর পুত্রবধুকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়। শেষমেষ সাড়ে নয়লাখ টাকা ফেরত চাইলে নানা ছলচাতিুরি করতে থাকে। বাধ্য হয়ে বাদী আদালতে মামলা করে। এ মামলায় অপর চারজন পাওনাদার স্বাক্ষী হয়েছেন।