বঙ্গবন্ধুর ৪৬ শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শার্শায় শোক সভায় ও গনভোজ

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, শোক থেকে শক্তি শোক থেকে জাগরন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তোমার ত্যাগ তিতিক্ষা তোমার স্বাধীনতা তোমার অর্জন তোমার সাফল্য আমরা রাখবো আমরন।

এদেশে হাজার হাজার বছর মোঘল বৃটিশরা সামাজ্য দ্বারা শোষিত হযেছে। বাঙালী নেতৃত্ব দেয়ার শক্তি, বাঙালীর নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা, বাঙালীর নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।

জাতির জনকের সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আহবানে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালী একত্রিত হয়ে তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা এবং যৌবনের শুরু থেকে জেল জলূম অত্যাচারে বাঙালীর সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্মানে যে মানুষটি অগ্রনী ভুমিকা রেখেছিলেন সেই মানুষটির আহবানে এদেশের সকল শ্রেনীর মানুষ যুদ্ধ করে লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছিলেন।

সেই লাল সবুজের পতাকা আমাদের সমুন্নত রাখা যেমন জরুরী। তেমন এমনি এই দেশের মানুষের যে স্বপ্নের উপর দাঁড়িয়ে যে মহান মুক্তিযুদ্ধ আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই স্বপ্ন পুরুন ও আমাদের জরুরী।

স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আর ঘাতকের বুলেটে বুকের তাজা রক্তে ভিজে যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শিড়ি। জতির জনকের ৪৬ শাহাদৎ বার্ষিকীতে শার্শার ডিহি ইউনিয়নে শোক সভায় ও গনভোজে কথাগুলো বলেন প্রধান অতিথি হিাসবে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

মঙ্গলবার বেলা ৪ টার সময় শার্শার ডিহি ইউনিয়নের পাকসী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটন বলেন,সেই স্বাধীনতার পর জাতির জনক অনেক দক্ষতার সাথে এদেশে মানুষের শিক্ষা, অর্থনৈতিক মুক্তি, এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য আবাসন সন্মান মর্যদা সমুন্নত রাখার জন্য প্রানপণ চেষ্টা করে গিয়েছিলেন।

কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সাড়ে তিন বছর এর মধ্যে জাতিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে এদেশের সেই স্বপ্নের পুরুষ সেনালী পুুরুষ যে পুরুষের জন্মে বাংলার মাটি ধন্য হয়েছিল বাংলার মাটি পবিত্র হয়েছিল, যে পুরুষের জন্মগ্রহন করায় সাহিত্য কবিতার জগৎ সমৃদ্ধ হয়েছে সকল স্তরে বাংলা ভাষা ভাষিদের বিশ্বের কাছে এক অনন্য উচ্চতায় পৌছে গেল সেই মহান পুরুষকে হত্যা করা হলো।

তিনি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধিাকে হত্যার উদাহরণ  টেনে বলেন মহাত্বা গান্ধীর হত্যা কান্ডে সে দেশের প্রধান মন্ত্রী জহর লাল নেহেরু বলেছিল মহাত্মা গান্ধিকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ভারতের সকল সৌন্দর্য বিলিন হয়ে গেল।

তেমনি আমার পিতা আপনার পিতা এই বাঙালিকে একটি আলাদা ভুখন্ড দিয়ে গেল যিনি তার জীবন যৌবনের শ্রেষ্ট দিনগুলি জেল খানায় কাটাল সেই জাতির জনককে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাঙালী জাতির সৌন্দর্য ও বিলীন হয়ে গেল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ভাব ধারায় দেশ পরিচালনা করা হলো।

জাতির জনকের পরিবারের ত্যাগ তিতিক্ষাকে অপপ্রচারের মাধ্যেমে একটি প্রজন্মের কাছে জাতির জনকের পরিবারকে ছোট করা হলো। একটি প্রজন্মের কাছে বিশ্বের দরবারে মহান মুক্তিযদ্ধের গৌরবের সকল সৌন্দর্য ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তকে ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমকে এবং তাদের ত্যাগকে ভুলুন্ঠিত করল । তাদের সুবিধা মতো কায়দায় বাংলার মুক্তিযুদ্ধর নতুন ইতিহাস তারা তৈরী করল। এমনটি হওয়ার কথা ছিল না।

যে জাতিকে একটি আলাদা একটি ভুখন্ড দিয়ে গেল একটি লাল সবুজের পতাকা দিয়ে গেলেন যে জাতিকে একটি সংবিধান দিয়ে গেলেন এবং মুসলমান ধর্মালম্বীদের বিশ্ব এস্তেমার জন্য টঙ্গী জায়গা দিয়ে গেলেন সেই জাতির জনককে পরাজিত শক্তি হত্যা করে কলঙ্ক লেপন করল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম,

শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সরোয়ার হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি খাতুন,

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা বিপুল, আওয়ামীলীগ নেতা আলীম রেজা বাপ্পী, বেনাপোল পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান,

বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন, বেনাপোল ৯ নং পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আছাদুজ্জামান শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন প্রমুখ।