আমরা এদেশে নতুন করে গণতন্ত্র সৃষ্টি করব: রিজভী

ruhul kabir rizvi
ফাইল ছবি

জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান জিয়াউর রহমান।

তাকে প্রতিনিয়ত অপমান করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাকে নানাভাবে কটূক্তি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন কিনা তার কোনো প্রমাণ নেই। কে বলছেন? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।

এটা কী তিনি বলতে পারেন? দেশের বরেণ্য একজন মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার স্বাধীনতার ঘোষক তাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত এ ধরনের কথা বলা হচ্ছে।

শুক্রবার ২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংগ্রহণ করেনি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন, ঢাকায় অবস্থান করেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অথচ তারাই আজকে বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলছেন। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রিজভী আরো বলেন, নজরুল আমাদের সামনে চলার অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে,

উজ্জীবিত করেছে। আজও গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর কবিতা ও গান আমাদেরকে শক্তি ও সাহস জোগায়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চিরকালীন দ্রোহের প্রতীক। তাঁর রচনা আমাদেরকে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

সমাজে শান্তি, সাম্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সৃষ্টিকর্মের জন্য চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম গোটা জাতিকে সমস্ত অরগল ভেঙে সমস্ত শিকল ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে তাগিদ দেয় সেটা এক অপরসীম। আজ তার কবিতা থেকেই বলতে চাই আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। আমরা নতুন করে সৃষ্টি করব গণতন্ত্র।

অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে অরগল মুক্ত করব। আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে এখানে আবার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে অরাজকতা অমানিশা দূরীভূত করে সূর্যের আলো নিয়ে এসে বাংলাদেশকে ভরে তুলব।