রামেক হাসপাতালে আরো ১৪ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় সাতজন, করোনা উপসর্গ নিয়ে ছয়জন এবং করোনা নেগেটিভ হয়েও একজন মারা গেছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে সোমবার ৩০ আগস্ট সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান। এক দিন আগে রোববার হাসপাতালের এই ইউনিটে সাতজন মারা যান।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে নাটোরের তিনজন, রাজশাহীর দুজন, নওগাঁর একজন এবং মেহেরপুরের একজন মারা গেছেন।

আর করোনা সংক্রমণের উপসর্গে নিয়ে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নাটোরের দুজন করে ছয়জন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন পাবনার একজন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ছয়জন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে।

২৯/৩০ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন মারা গেছেন। পরিচালক আরও জানান, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪১৮ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৬১ জন।

এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৭৬ জন। বর্তমানে রাজশাহীর ৭৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৭ জন, নাটোরের ১৮ জন, নওগাঁর ১২ জন, পাবনার ১৬ জন, কুষ্টিয়ার সাতজন, চুয়াডাঙ্গার একজন, জয়পুরহাটের তিনজন এবং সিরাজগঞ্জের দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৭৯ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৩ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ২৯ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন।

এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৫ জন। এর আগে রোববার ২৯ আগস্ট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ  হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৭ জনের নমুনায়।

একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২৮৩ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।