মমতার আসনে উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর

banerjee

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের আসন ভবানীপুরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দিয়েছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

শনিবার ৪ সেপ্টেম্বর দেয়া ওই বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার মোট ৩১ টি আসন বর্তমানে বিধায়কশূণ্য অবস্থায় আছে।

এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৪ টি আসনে কোনো বিধায়ক নেই। এই আসনগুলো হলো ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, খড়দহ ও গোসাবা।

ভবানীপুর আসনটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের আসন। বরাবর তিনি এই আসন থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

তবে চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির চিত্র অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হওয়ায় গত সর্বশেষ নির্বাচনে নিজ আসন ভবানীপুরের পরিবর্তে নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান তৃণমূল সভানেত্রী, যেখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ‘হেভিওয়েট’ নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে, ভবানীপুরে তার আসনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই আসনে জয়ীও হন তিনি।

নন্দীগ্রামকে ঘিরে নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে এবং তাতে প্রায় ২০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন শুভেন্দু।

গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪ টি আসনে। ২ মে যখন ফলাফল ঘোষণা হয়, তখন দেখা যায় ২১৩ টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা। ফলে, নিজে জয়ী হতে না পারলেও সংবিধান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের আসীন হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু ভারতের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ স্থায়ী করতে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের যে কোনো আসন থেকে জয়ী হওয়া প্রয়োজন ছিল তার এবং এ প্রসঙ্গে তিনি আগে জানিয়েছিলেন উপনির্বাচনে নিজ আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তিনি।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ২১ মে ভবানীপুরের বিধায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ তারিখ ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর ও ওড়িষার রাজ্যের পিপলি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সেই ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে ৬ অক্টোবর।

পশ্চিমবঙ্গের অন্য দুই আসন খড়দহ ও গোসাবা সহ মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে যে বিধায়কশূন্য আসনগুলো আছে, সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

সূত্র : এনডিটিভি