নবীন-প্রবীণ সংমিশ্রণে কার্যকর আন্দোলন সম্ভব

রাষ্ট্র বিনির্মাণে নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে একটি কার্যকর আন্দোলন সম্ভব বলে মনে করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হোক নূর।

শনিবার ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে পেশাজীবিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নূর বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল, এই ৩০ বছরে আমরা কি একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পেরেছি?

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগকে কি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি?

নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি কলঙ্কিত নির্বাচান কমিশনার হচ্ছে বর্তমান নুরুল হুদা কমিশনার। যারা একটা জাতীকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে।

২০১৪ সাল থেকে একটা বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের দারপ্রান্তে যাত্রা শুরু করেছে। এখনো দিন দিন সে দিকেই যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারি নাই।

অবাধ-সুষ্ঠু-নিরেপক্ষ নির্বাচনের জন্য জনগণের সম্পৃক্ত কর্মসূচীর মাধ্যমে বিনা ভোটের সরকারে উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি নাই। ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, অনেকেই বলে ছাত্র-তরুণরা এই সময়ের কাণ্ডারি।

আগামী রাষ্ট্র বিনির্মাণে তাদের সংগ্রাম করতে হবে। রাজপথে থাকতে হবে। আমি মনে করি তরুণদের উদ্দাম আছে, তারুণ্য আছে। তাদের সাথে প্রবীনদের অভিজ্ঞতারও দরকার আছে।

কাজেই নবীন-প্রবীন সংমিশ্রণে কার্যকর আন্দোলন বা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নিলে সম্ভবকর হবে।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য মোশতাক আহমেদের নামে থুঁ থুঁ ফেলি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে আমি মনে করি এই নির্বাচন কমিশনের নামে ঘৃণার স্তম্ভ হবে।

আমরা করব সেই ঘৃণার স্তম্ব। জাতীর অধিকার যারা হরণ করেছে, তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। আগামী নির্বাচন কমিশন কেমন হবে? কী প্রক্রিয়ায় হবে সেটা নিয়ে সবার জায়গা থেকে কথা বলতে হবে। সেই জায়গা থেকে পেশাজীবীদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ।