অসত্য তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে সমস্যা ডেকে আনে

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অসত্য তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বৃহত্তর সমস্যা ডেকে আনে।

এ সমস্যা সমাধানে দারিদ্র‍্য, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদি নিরসন এবং প্রচলিত ধারণা, মানসিকতা ও চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার।

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ৫ম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব স্পিকার্স অব পার্লামেন্টের ‘কাউন্টারিং মিসইনফরমেশন অ্যান্ড হেইট স্পিচ রিকয়ার্স স্ট্রঙ্গার রেগুলেশন্স’ শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এসব কথা বলেন।

আলোচনাটি মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদল বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, রুমানা আলী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার অংশগ্রহণ করেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রবীণ প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শক্তিশালী পারিবারিক কাঠামো যথাযথ শিক্ষার জন্য জরুরি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

স্পিকার বলেন, অসত্য তথ্য মানুষ ও সমাজকে ভুল পথে চালিত করে। অন্যদিকে, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য গঠনমূলক মত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

বাক ও মতপ্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সত্য প্রচারে অধিকতর কার্যকর ও উদ্ভাবনী সমাধান অন্বেষণ করতে হবে।

বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া না গেলে অধিকতর শক্তিশালী আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।