মোবাইল ইন্টারনেটের গতির চেয়ে ব্রডব্যান্ডে এগিয়ে বাংলাদেশ

মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক গড়ে খারাপ হলেও ব্রডব্যান্ড সংযোগের গতি বৃদ্ধির হারে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেটের গতির এই চিত্র উঠে এসেছে সম্প্রতি ওকলা প্রকাশিত বৈশ্বিক সূচকে।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে এই বছরের জুলাই সময়কালে ৩১.৮৭ শতাংশ বৈশ্বিক ব্রডব্র্যান্ড সংযোগের গতি বেড়েছে। ব্রডব্র্যান্ডে বাংলাদেশের এই বৃদ্ধির হার ৪২.৫৯ শতাংশ।

ব্রডব্র্যান্ডে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও মোবাইল ইন্টারনেটে দেশের গতি বাড়ার হার মাত্র ১৫.৩৮ শতাংশ। এই গড় বৈশ্বিক গড়ের মাত্র এক চতুর্থাংশ। অথচ বৈশ্বিক মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বেড়েছে ৫৯.৫ শতাংশ।

জুলাইয়ে প্রকাশিত ওকলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক গড় গতি ছিল ৫৫ এমবিপিএস। অথচ দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ছিল ১২.৬ এমবিপিএস। প্রতিবেদন বলছে, বিগত বছরের জুলাইয়ে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাইনলোডের গড় গতি ছিল সেকেন্ডে ১০.৯২ মেগাবাইট।

এই বছরের জুলাইয়ে তা বেড়ে হয়েছে মাত্র ১২.৬ এমবিপিএস। একই সময়কালে বৈশ্বিক মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোডের গতি ছিল ৩৪.৫২ এমবিপিএস। এবছরের জুলাইয়ে এসে এটি বেড়ে হয়েছে ৫৫.০৭ এমবিপিএস।

প্রতিবেদন বলছে, মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচকে বাংলাদেশ সবসময়ই পিছিয়ে রয়েছে। জুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। ওকলার প্রতিবেদনে বিশ্বের নানা দেশের গড় ইন্টারনেট গতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।

এক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী মাসের মাঝামাঝি প্রতিবেদনে তা প্রকাশ করে তারা। জুলাইয়ে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ছিল ১২ দশমিক ৬ এমবিপিএস। আর বৈশ্বিক গড় গতি ছিল ৫৫ এমবিপিএস।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে শীর্ষ ১০ দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, চীন, সাইপ্রাস, নরওয়ে, সৌদি আরব, কুয়েত, অষ্ট্রেলিয়া, বুলগেরিয়া।