সামাজিক মাধ্যমে ঢাকায় অপতৎপরতা চালাচ্ছে পাকিস্তানি হাইকমিশন

ধর্মকে পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী নানা প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তান হাইকমিশনের বিরুদ্ধে।

এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও দেশের গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি শীর্ষ দৈনিকের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। খবর ইকোনমিকসের।

খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, বিশিষ্ট নাগরিক, অ্যাকাডেমিশিয়ান ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছে।

মূলত, এর পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেইট ফর ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স। স্বার্থ পূরণের উদ্দেশ্যে তারা ধর্মকে পুঁজি করে বাংলাদেশ বিরোধী নানা বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

ভারতবিরোধী অভিযানের জন্য পাকিস্তান হাইকমিশন এর আগেও বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করেছে। ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিন আরশাদকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়াও ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি’কে অর্থ সহায়তা দেওয়ায় আরেক পাকিস্তানি কূটনীতিক মাজহার খান ধরা পড়েন।

এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ইসলামপন্থী বিক্ষোভে মদদ ও

সংগঠিত করার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ওই বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক হেফাজত নেতা মামুনুল ও তার ভগ্নিপতি মুফতি মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লাহ’র সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলোর ঘনিষ্ঠ যোগসাজশ রয়েছে।