তুরস্ক-আজারবাইজান যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

তুরস্ক ও আজারবাইজান যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সোমবার উভয় দেশের সেনাবাহিনী আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নাকচিভানে এই মহড়া শুরু করে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি। এর আগে গত জুনের শেষ সপ্তাহেও যৌথ মহড়ায় অংশ নেয় দেশ দুটি। মহড়ায় উভয় দেশের সেনাবাহিনীর ৬০০ সদস্য-কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে আজারবাইজান ও তুরস্কের সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে অবিনাশী ভ্রাতিত্ব-২০২১ নামে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে যুদ্ধে আক্রমণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সোমবার এ যৌথ মহড়া শুরু হয়।

এক জাতি, দুই দেশ’ এই স্লোগান সামনে রেখে তুরস্ক ও আজারবাইজানের এ যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয় আজারবাইজান।

যুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে আজেরি সেনারা যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পান।

৪৩ দিন যুদ্ধে শেষে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে আজারবাইজান শুশা শহর পুনর্দখল করে।

শহরটি সংস্কৃতি ও কৌশলগত দিক দিয়ে উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বছরের পর বছর ধরে তুরস্ক আজারবাইজানকে অস্ত্র দিয়ে এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে।

গত বছর আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সময় তুরস্ক আজারবাইজানকে বিদেশি সেনা দিয়েও সহায়তা করে বলে খবর প্রকাশ হয়। যদিও তুরস্ক এটি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানের বিজয়ের ফলে ককেশাস অঞ্চলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এই বিজয়কে তারা এরদোগানের ভূ-রাজনৈতিক অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।