যশোরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

হালনাগাদ লাইসেন্স করতে যশোরের উপজেলার ৫৪টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিককে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রতিষ্ঠান মালিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ। এদিকে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিন উপজেলার ১৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।

তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সরকারের নির্দেশনার বাইরে পরিচালিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সিভিল সার্জন।

তারই নির্দেশে নতুন করে এবং পুরোনোদের নতুন করে নবায়ন করতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান মালিককে পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলার ২১টি, ঝিকরগাছার ২১টি ও চৌগাছার ১২টি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, আলটিমেটাম দিয়ে পাঠানো পত্রে লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে সঠিকভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার তিন উপজেলার ৫৪টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে যায়নি।

নতুন করে ত্রুটিমুক্ত আবেদন করতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, এরই মধ্যে নানা অনিয়মের কারণে জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ১৯টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ম চোখে পড়লেই বন্ধ করা হবে। সরকারের নির্দেশনার বাইরে এসব চালানোর সুযোগ দেয়া হবে না।