শার্শায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

যশোরের শার্শার পল্লীতে এক হেফজ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে। পরে গ্রাম্য শালিশী বৈঠকে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে, মাদ্রাসা ছাত্রীর ইজ্জতের মুল্য দুই লাখ টাকা।

ঘটনাটি পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, শার্শা উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে মকবুল ইসলামের বাড়িতে একটি অবৈধ আবাসিক মহিলা হেফজ মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরীব ছাত্রীরা এসে পড়াশুনা করে।

কিন্তু মাদ্রাসার সাথেই বাড়িতে মকবুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম বসবাস করেন এবং সামনে রয়েছে তার একটি গ্রাম্য ডাক্তার খানা। যে কারনে মনিরুলের সাথে ছাত্রীদের দেখা-সাক্ষাত হয় সবসময়। সে সুবাদে শুক্রবার বিকেলের দিকে মাদ্রাসার একটি ছাত্রীকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে ছাত্রীটির বান্ধবীরা হঠাৎ এসে পড়ার তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় মনিরুল। পরে ঐ ছাত্রীটি বাড়িতে ফোন করে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। ঘটনা শোনার পর ছাত্রীটির মা ঐ দিন সন্ধ্যায় মনিরুলের বাড়িতে যায় এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মনিরুলকে জুতাপিটা করে লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।

এলাকাবাসী জানায়, মনিরুল একটি ভদ্র ঘরের সন্তান হলেও সে লম্পট প্রকৃতির ছেলে। এমন ঘটনা এর আগেও কয়েকবার সে মাদ্রাসা ছাত্রীদের সাথে ঘটিয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে তারা কোথাও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এবারও যদি টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যায় তাহলে আবারও সে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে।

এলাকাবাসী আরোও জানান, ঘটনার একদিন পর শনিবার সকালে হরিনাপোতা গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মোস্তাক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মাদ আলী, ইমান আলী ও সান্টু ছাত্রীটির চাচা জুব্বার আলীর সাথে রাতের আধারে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নগদ দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি এএসপি সার্কেল স্যার জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি কেউ স্বীকার করেনি। থানায়ও কেউ অভিযোগ দেয়নি। এধরনের কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।