আবারও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহারের কারণে দেশে যে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তারা একই সংকট আবারও সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

তিনি সোমবার রাজধানীর কামাল আতার্তুক এভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘অনন্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থার কথা বলে অথচ তারাই এই সরকারকে অপব্যবহার ও অকার্যকর করে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। শুধু তাই নয় এ নিয়ে তারা দেশে সাংবিধানিক সঙ্কটও সৃষ্টি করেছিল।

তাদের কিছু নেতাকর্মীর মুখে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই দাবিতে গোলযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতেই তাদের এই ষড়যন্ত্র। এই সরকারের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তা সকার জানা আছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক উদ্যোগ ও অর্জনকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়া, সন্ত্রাসবাদ-জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। এবিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের দুই শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে।

দেশের প্রতিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনার নাম মিশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আজ পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রতিবেশী দেশসমূহ হতবাক হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে। এসব কিছু এমনিতেই হচ্ছে না। একজন শেখ হাসিনা আছে বলেই সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী হিসেবে নয় তার স্বীয় যোগ্যতা, মেধা-বুদ্ধি, দূর দর্শিতা, দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে শতবাধা উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে এবং স্বপ্ন নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। মন্ত্রী আরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছে।

এখন এসডিজি বাস্তবায়নেও সাফল্যের সাক্ষর রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এসবের স্বীকৃতস্বরুপ তাকে বিভিন্ন পদক ও সম্মানে ভূষিত করছে। মো. তাজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর দেশীয় শাসকরা যেমন দেশ ও

মানুষের জন্য কিছু করেনি তেমনি তাদের দোসর পাকিস্তানিরাও ২৫ বছর বাঙালির রক্তচোষা ছাড়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কোনো অবদান রাখেনি। এমনিভাবে বিএনপি কখনোই এ জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন চায় না। তারা সব সময় এদেশের মানুষকে ভিখারি জাতি হিসেবে দেখতে চায়।