যশোরে রিং আইডির ৭ কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাত মামলা

যশোরে রিং আইডি’র সাত কর্মকর্তার বিরদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি আরও ১০/১৫জন। বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে শিমুল কুমার বিশ্বাস। মামলা নাম্বার ১৩০।

আসামিরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্জারামপুর উপজেলার কালাই নগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, একই এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আইরিন ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার ওয়াপদা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিন,

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে আহসান হাবিব, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মনির উদ্দিন শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম, রিং আইডি অফিস ও হবিগঞ্জ জেলা শহরের ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সাজিদ মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন।

আসামিরা সবাই ঢাকার ধানমন্ডির ৭/এ রোডের সি/৫/এ নম্বর ফ্লাটের ৭৮ নম্বর বাড়ি ওই প্রতিষ্ঠানের অফিসে চাকরি করেন। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম জানান, রিং আইডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাত কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। বাদীর অভিযোগ, চলতি বছরের ৫ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে বন্ধুদের সাথে যশোর শহরের আরবপুর বাজারে তোফাজ্জেলের চা দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে রফিকুল ইসলামের ১১৭৭৯০৪৪ নম্বর রিং আইডি থেকে পাঠানো নামে একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান।

ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয় প্রতিদিন একশটি বিজ্ঞাপন দেখলে ৫শ’ টাকা করে দেয়া হবে। আর একটা আইডি ক্রয় করতে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা করে লাগবে। ওই টাকা জমা দিলে ভার্চুুয়াল সদস্য পদে একটি রিং আইডি ওয়ালেট পাওয়া যাবে। এভাবে তিনি ১৬টি আইডি ক্রয় করেন।

সেখানে বিজ্ঞাপন দেখে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হয়েছে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে এক বার ওই টাকা ওয়ালেট থেকে উত্তোলন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ পর্যন্ত তার সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হলেও সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। পরে রিং আইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে এখন সমস্যা আছে পরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। এই পর্যন্ত কোন টাকা উত্তোলন করতে না পেরে থানায় এই মামলা করেছেন।