জামায়াত ধর্মের নামে অধর্মের কাজে লিপ্ত: হানিফ

mahabubul alam hanif
ফাইল ছবি

যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ধর্মের নামে অধর্মের কাজে লিপ্ত। তারাই ধর্মকে বিতর্কিত ও ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধর্মের দোহাই দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছিল, মা-বোনদের উপর পাশবিক নির্যাতন করেছিল। জামায়াত ৭১ সালেও ছিল রাজাকার, এখনও রাজাকার।

শুক্রবার ১৫ অক্টোবর বিকালে কুষ্টিয়ায় মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠের নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, যুগ যুগ ধরে এদেশে চমৎকার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য বিরাজমান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবার উৎসব ভাগাভাগি করে থাকি। ধর্মের দুটি দিক হচ্ছে শাস্ত্রীয় ও সামাজিক। ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজে সহিংসতা করা হচ্ছে।

পবিত্র কোরআন শরীফ অনুযায়ী যদি দোজখ-বেহেশতের বিচারের মাপকাঠিতে নির্ধারিত তাহলে আমি হলফ করে বলতে পারি ধর্মের পবিত্রতা নষ্টকারী হিসাবে দোজখের আগুনে নিপতিত হওয়া ছাড়া জামায়াতের কোন গত্যন্তর হবে না। চিহ্নিত রাজাকারদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।

যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্থানপন্থিদের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। তিনি আরও বলেন, ধর্ম যার যার,উৎসব সবার। পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লার দিঘিরপাড় এলাকার মন্দিরে পরিকল্পিতভাবে মূর্তির উপর পবিত্র কোরআন রাখা হয়েছে। সমাজে সহিংসতা সৃষ্টির জন্যই জামায়াত জঘন্য একাজটি করেছে।

এখন থেকে জামায়েতের রাজনীতি আর বরদাস্ত করা হবে না। ইতিমধ্যে শিবিরের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল ব্যাগে পাথর ভর্তি অন্য এলাকার লোক কুমিল্লার মন্দিরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চলিয়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এবং জ্ঞানই শক্তি। শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে পরিবার। শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা অর্জন না হলে জাতি ও জাতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সততা,নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীসহ সকলকে আলোর পথে এগিয়ে যেতে হবে।