স্পেস স্টেশন নির্মাণে মহাকাশে ফের অভিযান চীনের

মহাকাশে নিজেদের একটি স্টেশনের কোর মডিউলের উদ্দেশে তিন নভোচারীসহ রকেট পাঠিয়েছে চীন। নভোচারীদের একজন নারী ও দুজন পুরুষ। চীনের আগামী স্পেস স্টেশনটির কোর মডিউলে তারা ছয় মাস কাজ করবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, লং মার্চ-২এফ নামের রকেটটি শেনঝাউ-১৩ মহাকাশযান বহন করে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এটি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুর জিকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেয়।

চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার সকাল ৭টার দিকে রকেটটি সফলভাবে স্পেস স্টেশনে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। নভোচারীরা সকাল ১০টার দিকে স্পেস স্টেশনের কোর মডিউলে প্রবেশ করেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে স্পেস স্টেশন নির্মাণ শুরু করে চীন। ওই সময় স্টেশনটির তিনটি মডিউলের মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে বড় মডিউল তিয়ানহে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। স্পেস স্টেশনটির নির্মাণ শেষ হলে বাসের চেয়ে আকৃতিতে কিছুটা বড় তিয়ানহেতে থাকবেন নভোচারীরা।

শেনঝাউ-১৩ চারটি মহাকাশ অভিযানের মধ্যে দ্বিতীয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্পেস স্টেশন নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে মহাকাশে এসব অভিযান চালানো হচ্ছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে প্রথম মহাকাশযানে চড়ে অন্য তিন নভোচারী তিয়ানহেতে ৯০ দিন অবস্থান করেন।

সাম্প্রতিক অভিযানে তিয়ানহের মূল প্রযুক্তি ও রোবোটিক্স পরীক্ষা করবেন নভোচারীরা। এই অভিযানের কমান্ডার ৫৫ বছর বয়সী ঝাই ঝিগ্যাং।

নব্বই দশকের শেষের দিকে চীনের নভোচর প্রশিক্ষণার্থীদের প্রথম ব্যাচের একজন ঝিগ্যাং। চীনের এক গ্রামে জন্ম নেয়া ঝিগ্যাং ২০০৮ সালে দেশটির প্রথম মহাকাশ অভিযানে ছিলেন।

শেনঝাউ-১৩ ঝিগ্যাংয়ের দ্বিতীয় মহাকাশ অভিযান। মহাকাশে যাত্রার আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ঝিগ্যাং বলেন, ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ হচ্ছে, কক্ষপথে টানা ছয় মাস থাকা। এ অভিযান শরীর ও মনের একাগ্রতা দাবি করে।

স্পেস স্টেশন নির্মাণে ঝিগ্যাংয়ের সঙ্গে থাকছেন ৪১ বছর বয়সী ওয়াং ইয়াপিং ও ইয়ে গুয়াংফু। দৃঢ় মনোবলের জন্য সহকর্মীদের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত ইয়াপিং। চীনের বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট ইয়াপিং ২০১৩ সালে প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেন।

মহাকাশে যাওয়া চীনের নারী নভোচারীদের মধ্যে ইয়াপিং দ্বিতীয়। এর আগে ২০১২ সালে লিউ ইয়াং মহাকাশে যান। তৃতীয় নভোচারী গুয়াংফুর এটাই প্রথম মহাকাশ অভিযান।