রূপদিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে মানবিক রাজুর টিউবয়েল প্রদান

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে! কথা মালাটি নিছক কবিতা হলেও তার বাস্তবতার রূপে; রূপদিয়ার সেই মানবিক রাজু।

নিজ অর্থায়নে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৩’হাজার স্বল্পআয়ের মানুষকে নিয়মিত চাল-ডাল সহ খাদ্য সহায়তায় প্রদানের পাশাপাশি, এবার তিনি ৯টি ওয়ার্ডের ৮০টি মসজিদের তালিকা করে নিয়োজিত ইমাম ও মুয়াজ্জিন সাহেবদের মাঝে ৫’শ ও ৩’শ টাকা হারে প্রত্যেক মাসে সম্মানী চালু করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে- ব্যতিক্রমী একজন মানবিক মানুষ রূপদিয়ার সন্তান রাজু আহম্মেদ। আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে চায়। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা যখন নিজেদের প্রচার-প্রচারণা আর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে ব্যস্ত।

ঠিক তখন উল্টো আরেক চিত্র দেখা গেছে যশোর সদর উপজেলার ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ সমাজসেবক মানবিক ও গরিবের বন্ধু খ্যাত রাজু আহম্মেদকে।

অঞ্চলের প্রভাবশালীদের তোষামোদি বা শোডাউন না করে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অসহায় পরিবারের আর অসুস্থ মানুষের খোঁজে। রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুঁটে চলেছে সকাল থেকে রাত অবধি। এ কাজ যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। অসহায় আর অবহেলিত’দের খুঁজে সহযোগীতা করা রুটিনে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে রূপদিয়ার কলাপট্টি এলাকার ভূমিহীন দিনমজুর আব্দুল আজিজের ক্যান্সার আক্রান্ত ৭ বছরের মেয়ের জন্য আর্থিক সহযোগীতা সহ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো, রূপদিয়া খানপাড়ার জাহাঙ্গীর খানের অসুস্থ স্ত্রীকে আর্থিক সহযোগীতা,

চাউলিয়ার দাসপাড়া, নরেন্দ্রপুর, হাটবিলা সহ অন্তত ৪০ জন ব্যক্তিকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করছে সাধ্য অনুযায়ী। এছাড়া অত্র ইউনিয়নের ৯’টি ওয়ার্ডের ৩’হাজার দারিদ্র ও স্বল্পআয়ের মানুষের মাঝে সেবাকার্ড প্রদানের মাধ্যমে প্রতি দু’মাস অন্তর চাল, ডাল, আলু,

পেয়াজ সহ খাদ্যসহায়তা প্রদান করে আসছে লকডাউন চলাকালিন সময় থেকে। সম্প্রতি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৮০টি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের তালিকা করে নিয়মিত প্রতি মাসে ৫’শ ও ৩’শ টাকা হারে নিজ অর্থায়নে সম্মানী প্রদানের ব্যাবস্থা করেছে তরুণ এই সমাজসেবক।

এ ব্যাপারে রাজু আহম্মেদ বলেন- মানুষের পাশে থেকে সাধ্যমত সহযোগীতা করা আমার নেশা। আমিও গরীবের সন্তান এখন আল্লাহ্ আমাকে মন ভরে দিয়ে। তাই আমিও তার (শ্রষ্ঠার) রাজি-খুশীতে সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে রয়েছি,

যতদিন বাঁচবো এভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করার তৌফিক যেন আল্লাহ আমাকে দেয়। আমি সামান্য এক জন মানুষ আর মানুষ হিসাবে সকলের সহযোগীতা করায় আমার দায়িত্ব।

শনিবার হাটবিলার জামতলা ভ্যানস্ট্যান্ডে জনসাধারণের খাবার জন্য পানির টিউবয়েল প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি গোপালপুল গেট ও রামনগরের সাহাবাটি গুচ্ছ গ্রামে জনসাধারণের জন্য টিউবয়েল বসিয়ে দেন।