সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়ে এক একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন জাতীয় পার্টির (জাপা) নবনিযুক্ত মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো জাপার নেতাকর্মীরা।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, কোরআন অবমাননার খবর সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে দিতে অপচেষ্টা করেছে একটি চক্র। পরিকল্পিতভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশে অস্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় কখনও তাদের উৎসবমুখর পূজা বানচাল করতে কোরআন অবমাননা করবে না। সামান্যতম ঈমান থাকলে কোনো মুসলিম কোরআন অবমাননা করতে ষড়যন্ত্র করতে পারে না। আবার কোরআন অবমাননার খবর সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে দিতে অপচেষ্টা করেছে একটি চক্র।
পরিকল্পিতভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সরকারি সহায়তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাহারার মধ্যে কেমন করে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা হল তা তদন্তের দাবি জানান জি এম কাদের। তিনি বলেন, কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ব্যর্থ হল, এটা বের করতে হবে।
তিনি বলেন, হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে কোনোভাবেই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেব না। এদেশে একই চত্বরে মসজিদ ও মন্দিরে উপাসনা চলছে শত শত বছর ধরে। আমাদের পূর্ব পূরুষরাও একই সাথে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করেছে।
কখনও কোনো সমস্যা হয়নি, এখন কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যেকোনো ষড়যন্ত্রই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রণয়ন প্রসঙ্গে এদিনও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, এক প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানি না বলে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য ভাইরাল করেছেন, তার সাথে এই ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে সরকারে। একজন অর্বাচীন ব্যক্তির মত ঐ প্রতিমন্ত্রী জননন্দিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কটুক্তি করেছে,
কটাক্ষ করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে। সংবিধান পরিপন্থি কথা বলে শপথ ভঙ্গ করেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পঞ্চাদশ সংশোধনীর বিরুদ্ধে কথা বলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। খতিয়ে দেখতে হবে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী কেন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
