যশোরে প্রতারণার অভিযোগে মামলা

mamla rai

যশোরে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দুজনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রোববার (২৪ অক্টোবর) আদালতে পৃথক মামলা হয়েছে।

সদর উপজেলার বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে খাইরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজন ইসলাম মামলা দুটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লী গ্রামের মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে বর্তমানে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ শাজাহান আলী, ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকার শিকদার আফজাল হোসেনের ছেলে শিকদার সোহেল হাজারী ও খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার লালাহাটি বারাকপুর এলাকার সাত্তার শরীফের ছেলে সেলিম শরীফ।

ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলামের অভিযোগ, আসামিরা সরকারি বিভিন্ন অফিস ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদানকারী এজেন্ট বলে প্রচার করেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করে অগ্রণী ব্যাংকে চাকরির জন্য ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর আসামিদেরকে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।

এ সময় আসামিরা তাকে অগ্রণী ব্যাংকের একটি নিয়োগপত্র তাকে প্রদান করেন। তাকে জানানো হয়, নিয়োগপত্রটি ভুয়া। বিষয়টি আসামিদের জানিয়ে তাদেরকে দেয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তারা তালবাহনা করতে থাকেন।

সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর টাকা দাবি করলে তারা ফেরত দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। এমনকী এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তারা তাকে খুন জখমের হুমকি দেন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম আদালদের দারস্থ হয়েছেন।

উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেছেন অপর ভুক্তভোগী রাজন হোসেন। তার অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে চাকরির জন্য আসামিদের ১০ লাখ টাকা দেন।

এ সময় আসামিরা তাকে ওই দফতরের একটি নিয়োগপত্র দেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে গেলে সেখান থেকে তাকে বলা হয় যে, নিয়োগপত্রটি ভুয়া। বিষয়টি আসামিদের জানিয়ে তাদের কাছে টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগী রাজন হোসেন।

কিন্তু তারা তাকে টাকা ফেরত দিতে তালবাহনা করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর যোগাযোগ করা হলে আসামিরা তাকে টাকা ফেরত দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তারা তাকে খুন জখমের হুমকিও দেন। এ কারণে রাজন হোসেন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।